কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে কাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমাকে সামনে রেখে বিশাল ময়দানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারণায় টঙ্গী এখন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই পুরো ময়দান দেশি-বিদেশি মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। মূল ময়দানে স্থান পাওয়ায় অনেক মুসল্লি আশপাশের রাস্তা ও কলকারখানার বারান্দায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন।

বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ২৮ দেশের এক হাজার ৪৬১ জন বিদেশি মেহমান ময়দানের উত্তর-পশ্চিম দিকে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন।

এ স্রোত আখেরি মোনাজাতের আগমুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা ময়দানের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম।

গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুয়াযী, সকাল পর্যন্ত ভারতের এক হাজার ১২৩ জন, পাকিস্তানের ৮২ জন, মিয়ানমারের ১৬ জন ও আফগানিস্তানের ৮ জন বিদেশি মুসল্লি ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের (আলমি শুরার) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।

২০২০ সালে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনা-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।